স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরী শ্যালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ

সাভারে স্ত্রীর সহযোগীতায় এক কিশোরী শ্যালিককে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো- ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার পুরদনপুর গ্রামের মরহুম দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ সাহেব আলী (৩৫) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৫)। রোববার কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)’তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

জানা যায়, সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় সাহেব আলী ও জেসমিন নামের এক দম্পতি একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। জেসমিন পড়ে গিয়ে মাঝা ভেঙ্গে গেলে দীর্ঘদিন সে অসুস্থ্য রয়েছে। পরে দম্পতি নিজেদের সন্তানকে দেখাশুনা করার জন্য জেসমিনের আপন ১৪ বছরের ছোট বোনকে তাদের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসেন।

জেসমিন কিশোরীকে ঘুমের ওষধ সেবন করে নিজের স্বামী সাহেব আলীকে দিয়ে ধর্ষণ করাতেন। আবার মাঝে মধ্যে ওই কিশোরীকে তার দুলাভাই হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করতো। এভাবে প্রায় এক বছর চলে আসছে। এরই মধ্যে তাদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হলে শ্যালিকা গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোরী বিষয়টি তার বাবা মা’কে জানান। পরে জেসমিন তার আপন বড় ভাইয়ের দুই বছরের মেয়েকে অপহরণ করে ব্যাংক কলোনীতে নিয়ে আসেন। তার ভাইকে ফোনে জানান, তার মেয়ে শিশুকে পেতে হলে তার বোনকে আবারো তাদের ভাড়া বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। এরই মধ্যে শিশুর বাবা একটি অপহরণের মামলাও করেন।

Share this post

scroll to top