বাংলাদেশের ১৩৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিল টি-২০ র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল পাকিস্তান। কিন্তু দলটি কেন শীর্ষে তা যেন হাতে কলমে বোঝার আরো বাকী ছিল টাইগার বোলারদের। ইনিংসের শুরুতেই পাকিস্তানের প্রথম উইকেট তুলে নিয়ে যেন শেষবারই হাসলো বাংলাদেশ। হাসি, আনন্দ বা উদযাপন, বাংলাদেশী বোলারদের এসবের কোনোটা করতেই আর একবারের জন্যও সুযোগ দেয়নি পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম ও ড্যাশিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ১৬.৪ ওভারে অর্থ্যাৎ ২০ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে বাংলাদেশকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারালো পাকিস্তান। আর এর মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো পাকিস্তান।
বাংলাদেশের ১৩৬ রান তাড়া করতে আহসান আলীকে সাথে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ইনিংসের শুরুতে আহসান আলী ফিরে গেলেও তিনে নামা মোহাম্মদ হাফিজকে সাথে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বাবর। জয় নিশ্চিত করার আগে হাফিজ ও বাবর দুজনেই করেছেন হাফসেঞ্চুরি।
৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম। ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ৬৬ রান করার পথে বাবর আজম মারেন ৭টি চার ও একটি ছয়। আর এতেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন- কেন তিনি টি-২০ ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৪৯ বলে ৬৭ রান। ১৩৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে ৬৭ রান করার পথে হাফিজ মারেন ৯টি চার ও একটি ছয়। উইকেটে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ শুরুতে কিছুটা শ্লথ গতিতে রান তুললেও সময়ের সাথে সাথে তিনি বাবর আজমের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে জুটি গড়ে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর-হাফিজ। পাকিস্তানের একমাত্র উইকেটটি নেন শফিউল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও পাকিস্তানের সামনে বড় স্কোরের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ১৩৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি ৬৫ রান করেন। এছাড়া ২১ রান করেন আফিফ হোসেন, মাহমুদুল্লাহ করেন ১২ রান। শেষে সৌম্য ৫ রানে, আর আমিনুল ইসলাম ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার মোহাম্মদ হাসনাইন। এই পেসার ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও শাদাব খান।