প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ। তবে তারা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ সংলাপ যেন লোক দেখানো না হয়। সংলাপ যেন তামাশার না হয়।
সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের উদ্যোগ নিতে আজ বেলা ১টার দিকে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সাইফুল একথা বলেন।
বেলা সাড়ে বারোটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যেতে চাইলে আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী দৈনিক বাংলার মোড়ে আটকে দেয়। সেখানে এ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাইফুল আরো বলেন, তালগাছটা আমার- এ নীতি নিয়ে কোন কাজ করলে সংলাপ কোনো কাজে আসবে না। খোলা মন নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার মন নিয়ে সংলাপ করতে হবে। সরকারকে পিছু হটতে হবে। তাহলে মানুষের মধ্যে এসরকার সম্পর্ক আস্থার জায়গা তৈনি হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই সকল রাজনৈতিক শক্তির সাথে আলেচানা করবে সরকার। পাশাপাশি এসব বিষয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।
তার বক্তব্য শেষে সাইফুলের হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হকসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোট দীর্ঘ দিন ধরে নিম্নলিখিত চার দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিগুলি হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। জনগণের আস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।
প্রেসক্লাবের সামনের সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হকসহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোট দীর্ঘদিন ধরে নিম্নলিখিত চার দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। জনগণের আস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।