তানিউল করিম জীম : প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বাছাইকৃত জনগুরুত্বপূর্ণ ১০ টি সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্ভাবকের খোঁজে “ থিংক, হ্যাক, সলভ” স্নোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হ্যাকাথন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাকৃবি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন কক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৫০০ জন তরুণ শিক্ষার্থী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ, পল্লী সড়ক উন্নয় প্রকল্পগুলো মনিটরিং, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন সহ দেশের মোট ১০ টি সমস্যা সমাধানে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে চায় আইসিটি মন্ত্রণালয়। এর জন্য দেশের ১০ টি ভেন্যুতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তরুণরা এ সকল সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনি ভাবনা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জমা দিতে পারবে।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নুরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নুর আলী খান, জাতীয় কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন এবং কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আইডিয়ার উপ পরিচালক কাজী হোসনে আরা, বাকৃবির কম্পিউটার সায়েন্স এবং ম্যাথমেটিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ।
প্রধান অতিথি এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশের সব কাজের সাথেই বর্তমানে আইটি সেক্টর জড়িত। প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ হবে আরো নিপুন ও সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ এ দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩৫ দেশে এখন হার্ডওয়ার পণ্য রপ্তানি শুরু করছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০২৩ সালে মধ্যে সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে ইনক্যুভেটর স্থাপন করবে। উদ্ভাবককে উদ্যোক্তায় পরিনত করতে সকল সহযোগিতা করবে ওই ইনক্যুভেটর।
উল্লেখ্য, বাছাঁইকৃত প্রায় ২৫ জন দক্ষ মেনটর এবং সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৫০ টি দল মূল হ্যাকাথনে অংশ নিবে। সেখান থেকে সেরা ১০ টি উদ্ভাবনি ভাবনাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষনা করা হবে। বিজয়ী ১০ টি টিমকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান “টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড” মেকারস ল্যাবে গবেষণা ও প্রযুক্তি সহয়তাসহ মনিটরিং ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।