ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রেললাইনে দূরাবস্তা, আতঙ্কিত যাত্রীরা

ময়মনসিংহের গৌরীপুর অংশে রেললাইনে পাথর সংকট, ফিশপ্লেট, হুক ও নাট-বল্টু না থাকা, নষ্ট স্লিপারের পাশাপাশি ভুল সিগনালের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ৬ দিনে ৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রেলপথে। এদিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনে একদিনের ব্যবধানে ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুতের তিনটি ঘটনা ঘটলেও স্টেশন মাস্টারের দাবি, তার এলাকায় কোনো সমস্যা নেই।

রেললাইনে পাথর সংকট ও নষ্ট স্লিপারের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-জারিয়া-মোহনগঞ্জ রেলপথের গৌরীপুর অংশ। অনেকস্থানে স্লিপার চলে গেছে মাটির নিচে। রেললাইনের অনেক জায়গায় নেই ফিশপ্লেট, হুক ও জয়েন্টের নাট-বল্টু।

গৌরীপুর রেলস্টেশনে রেললাইনের অবস্থা সবচে খারাপ। যে কারণে এই রেলপথে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া ট্রেন চালক ও সিগনালে দায়িত্বরতদের গাফিলতিও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘনঘন ট্রেন দুর্ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন এই রেলপথে চলাচলকারী যাত্রীরা। বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও এনিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ তাদের।

যাত্রীদের অভিযোগ, রেললাইনে অনেক ঝামেলা যেমন পাথর নেই, রেললাইন সবজায়গায় দেবে গেছে। এই রেললাইনের কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই।

গৌরীপুর রেলস্টেশনে একদিনের ব্যবধানে ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুতের তিনটি ঘটনা ঘটলেও স্টেশন মাস্টারের দাবি, তার এলাকায় কোনো সমস্যা নেই।

গৌরীপুর রেল স্টেশন স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানের স্টান্ডার ব্যবস্থাটা একটা ভালো নিরাপত্তাবেষ্ঠিত ডিভাইস। এখানে পয়েন্ট বানিয়ে সিগনাল দিলে কোনোভাবেই পরিবর্তনের সুযোগ নেই।’
রেললাইনে পাথর সংকটের কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার বিশ্বাসের দাবি, নিয়মিত লাইন মেরামত করা হয়।

ময়মনসিংহ রেলওয়ের সিনিয়র উপ সহকারী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মন্ডল জানান, পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে সিগন্যালিং কার্যক্রম চলছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের নতুন শিডিউল চালুর পর ময়মনসিংহ -গৌরীপুর সেকশনে ট্রেনের গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ৫৩ থেকে ৬২ কিলোমিটার করা হয়েছে। রেললাইনের উন্নয়ন না করে গতি বাড়ানো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র:  সময় টিভি

Share this post

scroll to top