সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় শিবরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার অধিনস্থ এক সহকারী শিক্ষিকাকে মোবাইল ফোনে এসএমএস, বিভিন্নভাবে র্দীঘ দিন ধরে কু প্রস্তাব ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ঐ শিক্ষিকা নিজের নিরাপত্তার জন্য তাহিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। এরপরও কোনো সমাধান না হওয়ায় তিনি সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ ও জিডির সুত্রে জানা যায়, ও্ই শিক্ষিকা উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বাররে র্দীঘ দিন ধরে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি গ্রামীন ফোন নাম্বার থেকে বিভিন্ন সময় এসএমএস এর মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এবং বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানোর কারনে সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিৎ কমিটির সভাপতিসহ সবাইকে জানানোর পর তিনি তাহিরপুর থানায় গত ৬ অক্টোবর জিডি করেন। জিডি নং ১৭০। এরপর ওই শিক্ষিকা জিডির পর মোবাইল টেকনোলজির মাধ্যমে জানতে পারেন অজ্ঞাত নামা ওই ব্যক্তি তার নিজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার। এই বিষয়ে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিন্তু থেমে যাননি। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা ওই শিক্ষিকাকে আরো বেশি উত্যক্ত করতে শুরু করে। এরপর তিনি নিরুপায় হয়ে চাকরি করার স্বার্থে ও নিরাপত্তার জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এই বিষয়টি নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর লিখিত আবেদন করেন। আর আবেদনটি গ্রহণ করেন সহকারী শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র সরকার। এই বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে তিন মাস অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এই অবস্থায় ওই শিক্ষিাকার বিদ্যালয়ে চাকরি করা ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে হুমকির মুখে আছেন।
এই বিষয়ে শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র সরকার জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তদন্ত শুরু করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।