শেরপুরের শ্রীবরদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ষাট বছর বয়সের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম বদর আলী। বুধবার দুপুরে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত অছিম উদ্দিনের ছেলে বদর আলীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও অভিযুক্ত বদর আলী একই মহল্লার বাসিন্দা। গত কয়েক মাস আগে বদর আলী ওই ছাত্রীকে তেলপড়া দেয়ার কথা বলে গোয়াল ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এই ঘটনা প্রকাশ না করতে স্কুলছাত্রীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয় ধর্ষক বদর। হঠাৎ গত ১৩ জানুয়ারি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা তাকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বকশীগঞ্জে নিয়ে যায়। ডাক্তারী পরীক্ষায় ওই ছাত্রী গর্ভবতী বলে জানা যায়।
পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত ধর্ষক বদর আলী মিমাংসার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এনিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ছাত্রীর মা বাদি হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেলে পুলিশ বদর আলীকে আটক করে।
শ্রীবরদী থানার ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, ‘অভিযুক্ত বদর আলীকে আটক করে বুধবার দুপুরে শেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম আসলেই অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা জানার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’