ময়মনসিংহে পাঁচ দিনে ৪ বার ট্রেন দুর্ঘটনা : আতঙ্কে যাত্রী সাধারণ

ময়মনসিংহে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ৪ ট্রেন দূর্ঘটনার ঘটনায় সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে দুর্ঘটনা কবলিত ইঞ্জিন গতকাল রাত ৮টার দিকে উদ্ধার শেষে ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে বুধবার ও শুক্রবার গৌরিপুরে একই স্থানে দুইবার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়।

এদিকে ময়মনসিংহে পর পর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এসেছেন ঊর্ধতন দল। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ  রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ঢাকা রেলওয়ে হেডকোয়াটার ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলামকে প্রধান করে ৭/৮ জনের একটি দল দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসেছেন প্রতিনিধি দলগুলোর । দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ওই টিম বর্তমানে গৌরীপুরে আছেন। তবে, কি কারণে বার বার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকার পৌনে চারটার দিকে জারিয়া থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী জারিয়া লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন শম্ভুগঞ্জ রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিন রাত ৮টায় উদ্ধার শেষে ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ৫ দিনে চার ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে রেলওয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর আগে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিগন্যাল বিভাগের কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার রায় এবং এএমআই কর্মকর্তা সাজিদ হাসান নির্জন। এ কমিটি শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে পাননি তারা।

এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুর্ঘটনার কারণ জানতে ঢাকায় তলব করেন গৌরীপুর রেলওয়ের সিএসএম আবদুল কাদির, পয়েন্টম্যান ইসমাইল হোসেন ও সিগন্যাল খালাসী জেসমুন আরিফ তৌফিককে।

Share this post

scroll to top