জনপ্রিয়তায় ফেসবুককে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ‘টিকটক’

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বলতেই এতদিন হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটারের মতো অ্যাপগুলোর কথাই আগে মনে পড়তো। কিন্তু এবার ফেসবুককে কড়া টক্কর দিয়ে একেবারে সিংহাসনচ্যুত করল চীনা অ্যাপ টিকটক। জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে- টিকটক নাকি ফেসবুক? এই দুটির মধ্যে যদি ফেসবুককে কেউ বেশি জনপ্রিয় ভাবে, তবে তা হবে সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ২০১৯ সালে ডাউনলোডের নিরিখে ফেসবুককে পিছনে ফেলে দিয়েছে চীনের বাইটডান্সের অধীনে থাকা টিকটক।

মার্কেট বিশ্লেষক সেন্সর টাওয়ারের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের পরই জায়গা করে নিয়েছে টিকটক। গত বছর গুগল প্লে স্টোর, আইফোন এবং আই প্যাড থেকে গোটা বিশ্বে সবমিলিয়ে ৭৪০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপ। যদিও এর মধ্যে অ্যাপেল অ্যাপস, আগে থেকে ইনস্টল করা গুগল অ্যাপস এবং থার্ড পার্টি স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ডাউনলোডের সংখ্যার উল্লেখ নেই।

২০১৮ সালের তুলনায় গত বছর ১৩ শতাংশ ডাউনলোড বেড়েছে টিকটকের। স্বাভাবিকভাবেই তাই ২০১৯-এ আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। মজার বিষয় হল, টিকটকের এই বিপুল জনপ্রিয়তায় বড় অবদান রয়েছে পার্শবর্তী দেশ ভারতের ব্যবহারকারীদের। গত বছর মোট ডাউনলোডের মধ্যে ৪৪ শতাংশই করেছেন ভারতীয়রা। অথচ অশালীন-যৌনউদ্দীপক ভিডিও পোস্টের অভিযোগে একসময় অ্যাপটি এদেশে নিষিদ্ধই করে দেয়া হয়েছিল।

সে সময় একলাফে ৩৩ শতাংশ ডাউনলোড কমে গিয়েছিল অ্যাপটির। তবে নিজেদের ভাবমূর্তি বদলে ফিরে আসে তারা। চীনা সংস্থা নিশ্চিত করে, টিকটকে এমন কোনও ভিডিও পোস্ট করা হবে না যা বিতর্ক তৈরি করতে পারে। তারপর থেকেই এর জনপ্রিয়তা নতুন করে বাড়তে শুরু করে। নানা ধরনের গান-অভিনয়ের ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন ইউজাররা। এই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে অনেকে পরিচিতিও পেয়েছেন।

মার্কেট বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম দশে রয়েছে ফেসবুকের পাঁচটি অ্যাপ। তবে ফেসবুককে সরিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের পরের স্থানটিই দখল করে মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানিকে জোর ধাক্কা দিয়েছে টিকটক। এবার টিকটকে বিজ্ঞাপনদাতাদের কথাও ভাবা হচ্ছে। কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মকে মনিটাইজ করা যায়, সে নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। সূত্র : সিনেট, ইয়াহু নিউজ ও টেক ইন এশিয়া।

Share this post

scroll to top