দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বছরের শুরুটা হলো দু’রকমভাবে। লা লিগার শেষ তিন ম্যাচে ড্র করে বছর শেষ করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু শনিবার কলিজিয়াম আলফোনসো পেরেজ স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে গেটাফেকে হারিয়ে জয় দিয়ে বছর শুরু করলো জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। দলের হয়ে রাফায়েল ভারানে দু’টি ও লুকা মদ্রিচ একটি গোল করেন।
অন্য দিকে কাতালান ডার্বিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। এস্পানিওলের মাঠে ২-২ গোলে ড্র’য়ের আতিথেয়তা নিয়ে ফিরে লিওনেল মেসির দল। বার্সার হয়ে লুই সুয়ারেজ ও আর্তুরো ভিদাল একবার করে বল জালে জড়ান।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে আধিপত্য ছিল গেটাফের। ২৪তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগে এগিয়েও যেতে পারতো স্বাগতিকরা। তবে লেয়ান্দ্রো কাবরেরার জোরালো শর্ট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কর্তোয়া। খেলার ধারার বিপরীতে ৩৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় রিয়াল। বাঁ-দিক থেকে ফেরলদ মদির ক্রস পাঞ্চ করার চেষ্টায় এগিয়ে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক, লাফিয়েছিলেন ভারানে। বল তার মাথা ও গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে এক ড্রপে জালে জড়ায়। ৪২তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে করিম বেনজেমার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। বিরতির আগের বাকি সময়ে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল গেটাফে, দুবারই রুখে দেন কোর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ডান দিক থেকে টনি ক্রুসের দারুণ ক্রসে লাফিয়ে হেডে দ্বিতীয়বার জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ডিফেন্ডার ভারানে। যোগ করা সময়ে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহূর্তে ফেদেরিকো ভালভার্দের পাসে ঠিকমতো শট নিতে না পারলেও ফাঁকা জালে বল ঠেলে দিতে ভুল করেননি ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।
এস্পানিওলের মাঠে প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় তাদের। তার ওপর শেষ ১৫ মিনিট তাদের খেলতে হয় একজন কম নিয়ে। ৭৫তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।
অপর ম্যাচে ২৩তম মিনিটে মার্ক রোকার ক্রসে দারুণ হেডে ডেভিড লোপেজ গোল করলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে নয় মিনিটের ব্যবধানে দুবার জাল কাঁপিয়ে অবশ্য তারা এগিয়েও যায়। ৫০তম মিনিটে জর্দি আলবার বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে সমতা ফেরান লুইস সুয়ারেজ। চলতি লিগে উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের এটি একাদশ গোল। নয় মিনিট পর দলের লিড নেয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সুয়ারেজ। তার চিপ শটে হেড করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আর্তুরো ভিদাল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ৮৮তম মিনিটে চাইনিজ ফরোয়ার্ড উ লেই কোণাকুণি শটে বার্সা গোলরক্ষক নেটোকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ২-২ করেন।
১৯ ম্যাচ ১২ জয় ও চার ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪০। সমান ম্যাচে রিয়ালেরও ৪০ পয়েন্ট। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর স্থানটি দখলে রেখেছে আর্নেস্টো ভালভার্দের শিষ্যরা। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে অবস্থান করছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।