বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: সঙ্গিনীকে দেখতে ভালোবাসার টানেই একে অপরের কাছে আসে। এক্ষেত্রে দূরত্ব সম্পর্কের মধ্যে কোনো বাধা হতে পারে না। আর এর প্রমাণ দিলো দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পুরুষ সারস। অবাক হলেও এইটাই সত্যি।
ক্লেপেটান নামের পাখিটির সঙ্গিনীর নাম ম্যালেনা। সে থাকে ক্রোয়েশিয়ায়। প্রতিবছর নিয়ম করে প্রেয়সীর সঙ্গে সময় কাটাতে আট হাজার মাইলের বেশি পথ উড়ে যায় ক্লেপেটান। ১৬ বছর ধরে এ কাজ করে যাচ্ছে পাখিটি! মার্কিন অনলাইন ম্যাগাজিন মেন্টাল ফ্লসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, শি’কারির গু’লিতে আহ’ত হয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায় ম্যালেনা। সেখান থেকে সারসটিকে উ’দ্ধার করেন স্টিফেন ভোকিচ নামের এক ক্রোয়েশীয় নাগরিক। আহ’ত সারটিকে শু’শ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন।
ভোকিচ বলেন, ‘যদি ওকে পুকুর থেকে না তুলে আনতাম, তাহলে শিয়ালে খেত। যেহেতু ওর ভাগ্য আমিই বদলে দিয়েছি, তাই ওর জীবনের দায়িত্বও আমার।’ তাই সারসটিকে নিজের কাছে রেখে লালন-পালন করতে থাকেন ভোকিচ। সে সময় তিনি টের পান, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পাখিটির সঙ্গে দেখা করতে আসে তার প্রেমিক। সারস ঠোঁট দিয়ে ঠুক ঠুক শব্দ করে বলে ভোকিচ ম্যালেনার প্রেমিকের নাম দেন ‘ক্লেপেটান’। এমনিতে সারস সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে এক সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকে না। তাই ক্লেপেটান-ম্যালেনা জুটিকে এদিক থেকে অনন্য বলা যায়।
এই সারস জুটির বার্ষিক মি’লনক্ষণের জন্য প্রতিবছর বিশেষ আয়োজন রাখেন ভোকিচ। ক্লেপেটানের আসার সময় হয়ে এলে তাকে স্বাগত জানাতে মাছভর্তি বালতি প্রস্তুত করে রাখেন ভোকিচ।