ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : ভারতের আসামে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর গত দুই মাসে ভারত থেকে ৪৪৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসার কথা জানিয়েছে বিজিবি।
আজ বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পিলখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসছিল লোকজন। পুরো বছর জুড়ে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন এরকম ১,১০২ জন। বিজিবি প্রধান জানান, আটক হওয়াদের মধ্যে ৬০৬ জন পুরুষ, ২৫৮ জন নারী, ২৩৫ শিশু ও তিন জন মানব পাচারকারী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিজিবি নিশ্চিত হয়েছে যে, সীমান্ত পেরিয়ে আসাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। বিজিবি প্রধান জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের জন্য ঝিনাইদহ, মহেশপুর ও সাতক্ষীরায় অন্তত ২৫৩টি মামলা হয়েছে।
তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে কোনো উত্তেজনা নেই বলেও জানান তিনি।
গত অগাস্টে আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জিতে সেখানে বসবাসকারী ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে। ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, বাদ পড়াদের ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করে বের করে দিতে চায় বিজেপি সরকার। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের একটা বড় অংশ বাংলাভাষী।
এনআরসি নিয়ে বিতর্কের পর ভারত সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের মুখে যাওয়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সুগম করে।
এই আইনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সহিংস বিক্ষোভ চলছে দেশটিতে। অস্থিরতার মধ্যে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেন।
ভারতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় মানুষজনের আটক হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।