শেরপুরের শ্রীবরদীতে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের গিলাগাছা গ্রামে।
শুক্রবার রাতে ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুস ছালামকে (৫০) প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের চার সন্তানের জনক জনৈক জমির বর্গাচাষী হিসেবে কাজ করতেন। কিছু দিন আগে তিনি মারা যান। এ সুযোগে ছালাম প্রায়ই ছাত্রীটির বাড়িতে যাতায়াত করত। সেই সুবাদে ছাত্রীটিকে উত্যক্ত ও নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিত। সুযোগ বুঝে আব্দুস ছালাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী গর্ভবতী হয়। বিষয়টি ছালাম কাউকে না জানানোর জন্য ওই ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এতে সে ভয় পেয়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এরপর ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দিলে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।
পরে ভুক্তভোগী পরিবার ছালামের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছালাম ও তার পরিবারের লোকজন তাদের বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদর্শন করে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ মাতব্বররা আপোস মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছালামকে প্রধান আসামি করে শুক্রবার শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছালাম সহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শনিবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।