চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান ভারতকে অসুরক্ষিত বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর বার্তা দিতে গিয়ে নিশানা করেছিলেন ভারতকে।
বিদেশি দলগুলোর কাছে সুরক্ষিত নয় ভারত। তাই ভারতে ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়া হোক। আইসিসি-কে এমনই আর্জি জানালেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা জাভেদ মিয়াদাঁদ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশের বিক্ষিপ্ত স্থানে বিদ্রোহ চলছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। এমন অবস্থায় আইসিসির কাছে ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করার বার্তা দিলেন তিনি।
পাকিস্তানের ওয়েবসাইট পাকপ্যাশন.নেট-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিয়াদাঁদ বলেন, “আইসিসি সামনে এসে বিশ্বের সমস্ত ক্রিকেট খেলিয়ে দেশকে বলো। অবশ্যই জানাও যে ভারতে আর ক্রিকেট খেলা নিরাপদ নয়। কারণ ওখানের জনগণ একে অন্যের সঙ্গে মারামারি করছে, লড়াই করছে নিজেদের মধ্যে। তাকিয়ে দেখো, কী ঘটছে। আইসিসি-র অবশ্যই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মিঁয়াদাদ এখানেই না থেমে আরো বলেছেন, “আইসিসির কাছে আমার বার্তা স্পষ্ট। সমস্ত সফরকারী দলকে ভারতে আসতে বারণ করা হোক। এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে। ন্যায়ের পথে হাঁটুক আইসিসি। আইসিসি কী করবে, বিশ্বকে কোন কথা জানাবে, দেখা দরকার।”
ঘটনাচক্রে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান ভারতকে অসুরক্ষিত বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর বার্তা দিতে গিয়ে নিশানা করেছিলেন ভারতকে। বিদ্রুপ করে বলে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের তুলনায় বর্তমানে ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ এক দশক পরে পাকিস্তান সফলভাবে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আয়োজন করার পরেই এহসান মানি বিসিসিআইকে কটূক্তি করেছিলেন। ক্রিকেটপাকিস্তান.কম.পিকে-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মানির বক্তব্য ছিল, “বর্তমানে ভারতের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”
যার পালটা দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ডও। মানির বক্তব্যের পরেই বোর্ডের সহ-সভাপতি মাহিম ভার্মা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ওদের উচিত নিজের দেশের নিরাপত্তা আগে খতিয়ে দেখা। আমরা নিজেদের দেশ সামলাতে এবং নিরাপত্তা বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।” বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমলও একহাত নিয়েছিলেন মানিকে। সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ধুমল পিসিবি কর্তাকে তোপ দেগে বলেছেন, “যে ব্যক্তি সবসময়ে লন্ডনেই থাকেন, তার পক্ষে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে মন্তব্য করা অনুচিত। এমনকি তার পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে বলার যোগ্যতাও নেই।” চাঁচাছোলা ভাষায় অরুণ ধুমলের আরো সংযোজন, “উনি পাকিস্তানে খুব কম সময়ই থাকেন। উনি যদি পাকিস্তানে থাকতেন, তাহলে নিজেদের দেশের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো ভালো বুঝতে পারতেন।
ঘটনাচক্রে, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ আয়োজন করলেও আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে যথেষ্ট বেকায়দায়। কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, টি২০ ম্যাচ লাহোরে খেললেও পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলার প্রশ্নই নেই। সবমিলিয়ে বিসিবি পিছিয়ে আসায় আরো একবার ব্যাকফুটে পিসিবি।