মাসুদ রানা : একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো’তে নারী বিদ্বেষী কটুক্তি করার অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের আদালতে এবার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ১ নং আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ) রোজিনা খানের আদালতে এই মামলাটি করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপেন্দ্র চন্দ্র দাসকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ভার দিয়েছেন আদালত। বাদীর আইনজীবি পিযুষ কান্তি সরকার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী হয়েছেন আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক রাশেদা তাহমিনা প্রীতি। মামলা দায়েরের কারন হিসাবে আরজিতে দাবী করা হয়েছে, টেলিভিশন টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্রি এক প্রশ্নে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে জামাতের প্রতিনিধি হিসাবে সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগদান করছেন। এই প্রশ্নের জবাব চাওয়ায় তিনি মাসুদা ভাট্রিকে চরিত্রহীন নারী বলে আখ্যায়িত করেন। যার ফলে প্রখ্যাত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্রিসহ সকল নারী সমাজ ও সাংবাদিকদেরকে মানহানিকর উক্তি করায় সমগ্র নারী সমাজকে অপমানিত করা হয়েছে বলে মনে করেন। বাদী একজন নারী হওয়ায় এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হওয়ায় সামাজিক রাজনৈতিক এবনং মানষিকভাবে আহত ও অপমানিত হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ অক্টেবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একই আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন জেলা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও ভালুকা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতান মনি। উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো একাত্তরের জার্নাল এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, আপনি বলছেন- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন। মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনও প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।