বাংলাদেশের সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি পেলো ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

মো. আব্দুল কাইয়ুম : বাংলাদেশের সেরা হাসপাতাল হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফর। গত দশ বছরে সরকারের সাফল্য উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের রোডম্যাপের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদফরের প্ল্যানিং, মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট ও এমএনসিএইচ অপারেশন প্ল্যানের যৌথ উদ্যোগে ‘সেলিব্রেশন দ্য সাকসেস অব হেলথ ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ভিশন ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য খাতসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র আজ দৃশ্যমান। অনেক আগেই উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিতে হবে।’ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত দেখেছে সফলতার মুখ। কর্মসূচি গ্রহণ, জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামো নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সফলতা পেয়েছে সরকার।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্য ও শিক্ষা) জি এম সালেহউদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (পাবলিক হেলথ ও ওয়ার্ল্ড হেলথ) মো. হাবিবুর রহমান খান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলানসহ ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রর সেলিব্রেটি হল, হারমনি হল এবং কার্নিভাল হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মোট বারোটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বর্তমান সরকারের বিগত দশ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন অর্জন, সাফল্য এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top