ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নূরুল হক নুরের পদত্যাগ চেয়ে ভিসির কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে তারা এ দাবি জানায়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন রাজু জানান, নুরের পদত্যাগের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে যেসব ছেলে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই বহিরাগত।
পরে সত্যতা জানতে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া একজনের কাছে তার নাম জানতে চাইলে সে বলতে রাজি হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নাম জানতে চাইলেও সে বলতে পারেনি। পরে সে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। অপর একজনের কাছে নাম জানতে চাইলে সেও বলতে রাজি হয়নি। পরে সে তার পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে লাগিয়ে দেয়। পরে সে কোন বিভাগের শিক্ষার্থী জানতে চাইলে সে কোনো কথাই বলতে রাজি হয়নি।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে দেখা যায়, বহিরাগতদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একজন নেতা তাদের প্রত্যেককে নাস্তা দিয়ে হাত মিলিয়ে বিদায় জানান।
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় নূরুল হক নুরকে ডাকসুর ভিপি পদ থেকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামের দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবি জানায় তারা।
একই সময় তিন দফা দাবি পূরণে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী তাদের দাবির বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের কাছে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। এ সময় তাদের দাবিকৃত তিন দফা প্রক্টর গোলাম রব্বানীর হাতে তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
বহিরাগতদের দিয়ে আন্দোলনের বিষয়ে আল মামুন বলেন, সেখানে যে সবাই বহিরাগত সেটা ঠিক নয়। আমিও ছিলাম। সেখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আরো অনেকে ছিল যারা বাইরে অবস্থান করেন।
মামুন বলেন, অছাত্র ও বহিরাগতদের দিয়ে নুরই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। তার কোটাবিরোধী আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সবগুলো প্রোগ্রামের অছাত্র ও বহিরাগতদের দিয়ে পালন করেন।
আজকের আন্দোলনের অছাত্র ও বহিরাগত ছিল এটি স্বীকার করে আল মামুন বলেন, যারা ছিল তারাও আমাদের কমিটির সাথে যুক্ত।
ভিপি নুরের পদত্যাগের জন্য তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আল মামুন বলেন, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় যে অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সেটি যথেষ্ট তার পদত্যাগের জন্য।
সেই অডিও রেকর্ডের খন্ডাংশ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুর। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে আল মামুন বলেন, আর কোনো তথ্য-প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে সেটিই যথেষ্ট।