রংপুর মহানগরীর বাহারকাছনা কাছনারদোলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে রোববার দুপুরে পুত্র, কন্যা ও গর্ভবতী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক দ্বন্দ্বে গৃহকর্তা আব্দুর রাজ্জাক শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার রাতের কোনো একসময় ওই এলাকার খোকন মাছুয়ার পুত্র আব্দুর রাজ্জাক (৩২) তার গর্ভবতী স্ত্রী আসফিয়া আখতার রত্না (৩০), কন্যা নেহা (৩) ও পুত্র নিশাতকে (১) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রোববার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারী আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আব্দুর রাজ্জাক মাদকাসক্ত। পারিবারিক বিষয়ে দ্বন্দ্ব ছিল কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত রত্নার খালাতো বোন শাহনওয়াজ বেগম জানান, ১০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। প্রথমে তারা স্টেশন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। কিছুদিন আগে বাহারকাছনা এলাকায় বাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করেছেন।
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী নিজ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কাকুচিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃতরা হলেন, মান্নান গাজী (৫০) ও তার স্ত্রী সোনা বিবি (৩৫)। মান্নান গাজী কাকুচিপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব গাজীর ছেলে ও সোনা বিবি কালিঞ্চি গ্রামের সিরাজ গাজীর মেয়ে। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে স্বামী গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে বাড়ির পাশে গাছে মান্নার গাজীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার (ওসি) তদন্ত ইয়াছিন আলম জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সোনা বিবি ও মান্নান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে। স্ত্রীর শরীর, ঘাড়, গলা, পিট ও পায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। ইউএনবি।