ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-২০১৯ সেশনের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে ১৮ অক্টোবর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। এরপর রোববার রিট দায়ের করেন।
‘পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেলো, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তদন্তে তা প্রমাণিত হয়। যে শিক্ষার্থী ‘গ’ ইউনিটে ফেল, সে শিক্ষর্থী ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছে, যা আনরিজেনবল।’
রোববার ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, নোটিশের জবাব পাইনি। তাই রিট করেছি। রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-২০৯৯ সেশনের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিতে আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরউপাচারর্য, শিক্ষা সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীনকে।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। পরে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করলে শাহবাগ থানায় মামলা করে। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রথমে ফল প্রকাশ স্থগিত রাখলেও পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অস্বাভাবিক দেখা গেলে শিক্ষার্থীরা দাবি জানায়।
১৬ অক্টোবর দুপুর থেকে আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেন পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরব হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।