অস্ট্রেলিয়ায় সেই একই পাকিস্তান

দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করে সিরিজে ভালো কিছু করার আভাস দিয়েছিল পাকিস্তান; কিন্তু আসল খেলায় তার ছিটেফোটাও নেই। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ‘পাকিস্তান জেতে না’ এমন একটা কথা ক্রিকেট বিশ্বে প্রচলিত আছে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে সিডনি টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। এরপর গত প্রায় ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্টে জয় নেই তাদের।

তবে এবারের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে সেই ধারণা পাল্টানোর আভাস দিয়েছিলেন আজহার আলীর দলের ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু ফলাফল পাল্টালো না। বরং দুটো টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হার। ব্রিসবেনে ইনিংস ও ৫ রানে পরাজয়ের পর এডিলেডে পরাজয়ের ব্যবধানটা আরো বাড়লো। সোমবার চতুর্থ দিন তৃতীয় সেশনের শুরুতেই আজহার আলীর দলের হার নিশ্চিত হয়েছে ইনিংস ও ৪৮ রানে।

এই জয়ের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে অনেকটা এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের সমান ৭ ম্যাচ খেলে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে টিম পাইনের দল। অন্য দিকে ২ ম্যাচ খেলে মিসবাহ’র শীষ্যদের পয়েন্ট শূন্য।

২৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅন করতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ২৩৯ রানে। প্রথম ইনিংসে পেসাররা আধিপত্য বিস্তার করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অজি স্পিনার নাথান লিয়ন নিয়েছেন ৬৯ রানে ৫ উইকেট।

এই টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ডেভিড ওয়র্নারের অপরাজিত ৩৩৫ ও মারনুস লাবুশানের ১৬২ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। এর জবাব দিতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মিডল অর্ডারে বাবর আজম ৯৭ রানের ইনিংস আর ৮ নম্বরে নামা ইয়াসির শাহের চমক দেখানো সেঞ্চুরিতেও(১১৩) ফলোঅন এড়াতে পারেনি মিসবাহর শীষ্যরা। ৩০২ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২৩৯ রান। ওপেনার শান মাসুদ ৬৮ ও আসাদ শফিক ৫৭ রান করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ডেভিড ওয়ার্নার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০তে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান।

Share this post

scroll to top