জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যে দেশে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে- সে দেশে আমি তো আশা করতে যে পারি নারী নির্যাতন হবে না, নারীরা তার সম্মান পাবে; কিন্তু দুঃখজনক এখন আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সাদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
মান্না বলেন, যে মন্ত্রী বললেন ৩০ থেকে ৩৪ জনের মৃত্যু বড় কিছু নয়- ওই মন্ত্রী এখনো কিভাবে স্বপদে বহাল আছে? আসলে সরকার একটির পর একটি ইস্যু তৈরি করছেন- যেন আমরা কোন ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকতে না পারি। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে। পদ্মা সেতুতে একটি করে স্প্যান বসে আর মনে হয় আমরা একটা করে চাঁদ ধরে নিয়ে এসেছি। পদ্মা সেতুর খবর শুনতে শুনতে আমাদের এখন কান ব্যথা হয়ে গেছে, মুখ তিতা হয়ে গেছে আর চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় রাজনৈতিক দল; কিন্তু খুন গুম হত্যা নারী নির্যাতন হচ্ছে এজন্য বিএনপি কী করছেন? বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যখন নারীদের নিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু কথা বলেছিলেন তখন ৫ লাখ নারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছিল। আপনারা পারেন না সব নারীরা রাস্তায় নেমে একটা মিছিল করতে যে আমরা আমাদের ইজ্জত চাই, সম্মান চাই।
আবরার হত্যার কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটি হত্যা ১৭ কোটি মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। এই একটা মৃত্যুকে ইস্যু করে আমরা কি পারতাম না সরকারের ভীত নাড়িয়ে দিতে? তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে আটকে রেখে একটি মহল পৈশাচিক আনন্দ করছে। যারা এ পৈশাচিক আনন্দ নিচ্ছে আমারা কি পারি না তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে?
পেঁয়াজ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মান্না বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমার দেশে পেঁয়াজ নাই, আমাদের বন্ধুরা আমাদের পেঁয়াজ না দিয়ে মালদ্বীপে পাঠিয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবকিছুর একটা সীমা আছে। অত্যাচার করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার একটা সীমা আছে। আপনারা সেই সীমা পার করছেন এবং সেটা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। সবকিছু পাল্টে যাচ্ছে, হিসাব বদলে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সমস্ত মানুষ রাজপথে নেমে আসবে এবং রাজপথ আমাদের দখলে চলে আসবে। আমরা সে জন্য প্রস্তুত হতে চাই এবং এই বিজয়ের মাসে বিদায় ঘণ্টা বাজাতে চাই।