নেত্রকোনা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের লক্ষীপাশা বানিয়াপাড়া গ্রামে টাকা না দিলে পল্লী বিদ্যুতের লাইনও নির্মান হবেনা, সংযোগও দেয়া হবে না। স্থানীয় একটি দালালচক্র এক জুট হয়ে কৃষক পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ৩ লক্ষাধিক টাকা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের লক্ষীপাশা। ১ বছর পূর্বে আগে টাকা দেয়ার পরও যথা সময়ে পুরোপুরি কাজ না হওয়ায় সাধারন কৃষকরা ক্ষোভে দুঃখে ফুঁসে উঠেছেন। তারা তাদের কাছ থেকে গ্রামের এই দালাল চক্রটি বিদ্যুতের লাইন নির্মান, সংযোগ ও মিটার স্থাপনের কথা বলে ৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরেছেন।
গ্রামবাসীর পক্ষে ওই গ্রামের বাসিন্দা হেলিম তালুকদার গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন ওই গ্রামে বিদ্যুতের যে লটটির কাজ শুরু হয়েছিল লট নাম্বার ২৮৯৯। একই গ্রামের রতন মিয়া বিদ্যুতের লাইন নির্মান সংযোগ ও মিটার স্থাপনের কথা বলে প্রতি পরিবারের কাছ থেকে ৫- ৬ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। হেলিম জানান, মোট- ৬৭টি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার দেয়ার কথা বলে, ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়েও তারা কাজটি শুরু করে থেমে যাওয়ার পর কৃষকরা আমাদের কাছে এ কথা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে রতন মিয়ার সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোনো টাকা পয়সা নেই নি। স্থানীয় এলাকাবাসী সাকলাইন বলেন, এ সব কাজ শেষ করার জন্য টাকা নিয়েছেন। আহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রতন মিয়াকে লাইন নির্মান, সংযোগ ও ওয়ারিং করার জন্য ইতিমধ্যে ৩ লক্ষাধিক টাকার মতো দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামের তয়েব আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ও সংযোগের জন্য কাউকে ১ টাকাও দিতে হবে না। কিন্তু স্থানীয় একটি দালাল চক্রের যোগসাজসে লক্ষীপাশা বানিয়াপাড়া গ্রামের ৬৭ টি পরিবারের কাছ থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। রতন মিয়ার সঙ্গে টাকা দেয়ার বিষয়ে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, হেলিম তালুকদার নামে এক ব্যক্তি নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।