ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : ময়মনসিংহের ২১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৩ উপজেলায় মোট ২১৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।এর মধ্যে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১২৮টি।এসব বিদ্যালয় সরকারীকরণের সময় কর্মরত প্রধান শিক্ষক মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিবেচিত না হওয়ায় তাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া যায়নি।পরে পদোন্নতি না পেয়ে এসব শিক্ষক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, সেগুলোয় আপাতত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের সার্বিক দেখাশোনার পাশাপাশি নানা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।তাকে নিয়মিত ঊর্ধ্বতন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। এ কারণে তারা পাঠদান করেন কম।
ফলে যেসব বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে, সেগুলোয় শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে।এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ত্রিশালের দরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
তাছাড়া সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকলে এমনিতেই একজন শিক্ষক কমে যায়। অধিকাংশ স্কুলেই প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে পড়াশোনার মান ভালো হচ্ছে না।
ত্রিশাল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, ত্রিশাল উপজেলায় ২৭টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে । বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল হক জানান, মুক্তাগাছা, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট, ফুলপুর, তারাকান্দা ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় মোট ২১৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।এর মধ্যে শতকরা ৬৫ শতাংশ বা ১৭০টি পদ সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করা হবে।অবশিষ্ট ৩৫ শতাংশ বা ৪৬টি পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।আপাতত চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদ পূরণের প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র: বণিক বার্তা