ব্যর্থ হলেই আমি দলের বোঝা : গেইল

ক্যারিয়ারের অন্তিম মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছেন ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইল। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশাল চাহিদা ইউনিভার্স বসের। সম্প্রতি খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মযানজি সুপার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোযি স্টার্সের হয়ে। ব্যাটে রান নেই। দলও পাচ্ছে না জয়ের দেখা। ক্রিস গেইলের হতাশ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এখানে তিনি ভালো ব্যবহার পাননি। তাই দলকে বিদায় বলার আগে গেইলের কণ্ঠে ব্যর্থতার হতাশা ছাপিয়ে ফুটে উঠল আবেগ, ক্ষোভ, অভিমান।

গেইল বলেন, ‘যখনই আমি টানা দুই-তিন ম্যাচে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হই, তখন আমি দলের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াই। আমি কেবল এই দলের কথা বলছি না। অনেক বছর ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার পর এটা আমার পর্যবেক্ষণ। দুই, তিন, চার ম্যাচে রান না করলেই ক্রিস গেইল দলের বোঝা। মনে হয় যেন এই একজনই দলে বোঝা।  কটু কথা শুনতে হয়। লোকে মনে রাখে না, দলের জন্য কী করেছি। আমি কোনো সম্মান পাই না।’

মনের সব ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ‘দ্য ইউনিভার্স বস’ আরও বলেন, ‘শুধু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়, সব মিলিয়েই বলছি আমি। আমি এমনকি ক্রিকেটারদের কথাও বলছি। ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড সদস্য – ক্রিস গেইল কারও কাছ থেকেই কখনো সম্মান পায়নি। গেইল যখন ব্যর্থ হয়, তখনই যেন তার ক্যারিয়ার শেষ, সে আর চলে না, সে সবচেয়ে বাজে ক্রিকেটার, এসব শোনা যায়। আমি এসবকে জয় করেই খেলেছি। এসবই আমি আশা করি, এগুলো নিয়েই এগিয়ে গেছি।’

আর মযানজি সুপার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোযি স্টার্সের বাজে পারফর্মেন্সের কারণ ব্যখ্যা করে গেইলের বক্তব্য, ‘এই দলটা চ্যাম্পিয়ন হবার মতো নয়। শিরোপা ধরে রাখার জন্য খেলতে নামা কোন দলের এভাবে পারফর্ম করা উচিত নয়। বেশিরভাগ সময়ই খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করে। আমি জানি না এটা মাঠের বাইরের কোনো সমস্যার জন্য হচ্ছে কি না। আমি জানি না সমস্যাটা কি, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষকে এটা বের করতে হবে। গত বছর আমি খুব মজা করেছি। সেটা ফিরে পেতেই এসেছিলাম। অর্থের কোন ব্যাপার ছিল না এখানে, এ নিয়ে কোন আলোচনাও হয়নি।’

Share this post

scroll to top