বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের কাছে একাধিক বিষয়ে প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ প্রতিশ্রুতি নেন।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন আপনারা সফল করবেন। মাদককে না বলুন। সন্ত্রাসকে না বলুন। দুর্নীতিকে না বলুন। টেন্ডারবাজি_চাঁদাবাজিকে না বলুন। ভূমিদস্যুতাকে না বলুন। ঠিক আছে ? মনে থাকবে ? আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে গিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। এটাই দাবি।
এর আগে সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কংগ্রেসস্থলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে যুবলীগের কংগ্রেস উদ্বোধন করেন।
যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পদ্মাসেতুর আদলে। প্রথম অধিবেশন শেষ হলে
বিকেল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে যুবলীগের কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নির্বাচিত হবেন যুবলীগের আগামীর নেতৃত্ব।
যুবলীগের নেতারা জানান, কোন কংগ্রেসেই যুবলীগের নেতৃত্বে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি। সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই যুবলীগের নেতৃত্বে ঠিক করেন।
বক্তব্যে কাদের বলেন, রক্তাক্ত বিদ্রোহের ৪৪ বছর পরও মুজিব বাংলার উত্তাল সাগরের অমানিশার অন্ধকারে বাঙালির বিশ্বাসের পথচলা। আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি শেখ মুজিব।
পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর এই বাংলার মাটিতে বারেবারে বাংলার বীর সন্তানরা মৃত্যুবরণ করেছে। রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। সেদিন স্বাধীনতার জন্য ব্যারাকপুরে সিপাহীরা বিদ্রোহ করেছে। রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ফকির মজনু শাহ। রক্ত দিয়েছে সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা। রক্ত দিয়েছে বাংলার নীল বিদ্রোহের নেতা।
ক্ষুদিরাম ফাঁসির মঞ্চে, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা তৈরি করে বিদ্রোহ করেছে স্বাধীনতার জন্য। সেদিন চট্টলার মাটিতে মাস্টারদা সূর্যসেন, অগ্নিকন্যারা গান গেয়েছেন। নেতাজি সুভাষ বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি স্বাধীনতা দেব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলার অগ্নিবীণার কবি নজরুল বলেছিলেন তোরা সব জয়ধ্বনি কর।
ফজলুল হক মনিকে যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেসের যুব সমাবেশে তাকে বারবার মনে পড়ছে। ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের এই বাংলার মাটিতে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর বিশাল বক্ক সেদিন লুটিয়ে পড়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, গত ৪৪বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিজের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪বছরে সবচেয়ে পরিশ্রমী নেতার নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সফল কূটনৈতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে জননন্দিত জনপ্রিয় নেতার নাম, রাজনীতিকের নাম, রাষ্ট্রনায়কের নাম শেখ হাসিনা। যুবলীগ যথার্থই বলেছিল। প্রধানমন্ত্রী একজন পলিটিশিয়ান নন তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক।