যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগিরই দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বসতে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দু’দেশের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন কিম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে এ সম্মতির কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
রোববার উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছে দেশটির শীর্ষ নেতা উনের সঙ্গে বৈঠক করেন পম্পেও। এটি পম্পেওর চতুর্থ উত্তর কোরিয়া সফর। বিগত এসব সফরের কারণে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পম্পেও বলেন, ‘তার সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য দু’দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করা এবং শান্তি ফিরিয়ে আনা।’
রোববারই পম্পেও দক্ষিণ কোরিয়া যান এবং প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন। মুনের প্রেস সচিব ইয়ুন ইয়ং-চ্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে মুনকে পম্পেও বলেছেন, তিনি ও কিম উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণে যেসব পদক্ষেপ পিয়ংইয়ংকে নিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এছাড়া ওই পদক্ষেপগুলো কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইয়ুন আরও জানিয়েছেন, ‘নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের দ্বিতীয়বারের বৈঠকের বিষয়ে আলোচনার জন্য পম্পেও ও কিম একটি কার্যকরী কমিটি গঠনের বিষয়েও একমত হয়েছেন।’
উত্তর কোরিয়া সফরকে ‘উত্তম সফর’ আখ্যা দিয়ে পম্পেও বলেন, কিমের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও উনের মধ্যে প্রথমবার বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে কিম উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিরস্ত্রীকরণে কার্যকরণ কোনো উদ্যোগ উত্তর কোরিয়া নেয়নি। সম্প্রতি কিম জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বসতে আগ্রহী এবং ওই সময় নিরস্ত্রীকরণের রূপরেখা তৈরি হবে।