রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে কঠিন শর্ত আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক জায়ান্ট গুগল। তারা বলেছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য থেকে ধারণা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের জন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ আর দেয়া হবে না।
রাজনৈতিক প্রচারকারীরা তাদের হাতে থাকা ভোটার তালিকার সাথে গুগল বা ইউটিউব ব্যবহারকারীদের তালিকা মিলিয়ে দেখার সুযোগ আর পাবে না। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। পরে অন্যান্য দেশেও তা প্রযোজ্য হবে।
তবে নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ পরিচয় ও এলাকার ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ গুগলে আগের মতোই থাকবে। গুগল বলছে, কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হলে তারা ব্যবস্থা নেবে। গুগলের এই সিদ্ধান্ত ফেইসবুকের ঠিক উল্টো।
মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের তথ্য সঠিক কি না তা যাচাই করতে যাবে না ফেইসবুক। তবে আরেক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সব ধরণের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে গুগল যে অবস্থান নিল তা ফেইসবুক আর টুইটারের মাঝামাঝি একটি অবস্থা। যেসব বিজ্ঞাপনে বড় ধরনের সমস্যা থাকবে, কেবল সেগুলোকোই তারা আটকাবে।
গুগল বিজ্ঞাপনের হেড অব প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট সকট স্পেনসার বুধবার ব্লগ পোস্টে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক বিতর্ক ও আলোচনাকে তারা জরুরি বলেই মনে করেন। তবে রাজনীতিবিদদের সব দাবি, পাল্টা দাবির সব সত্য বিচার করে দেখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘ফলে বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য বাদ পড়া রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সংখ্যা খুব বেশি হবে বরে আমরা মনে করি না। তবে যেখানে নিয়মের বত্যয় হবে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’ সূত্র : গার্ডিয়ান