বিংশ শতাব্দির শুরুতে ভারতীয় সৈনিক পদে চাকরি নেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন সেই যুদ্ধে। যুদ্ধে অংশ নেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে পান ভিক্টোরী ও ক্যাম্পিং নামে দুইটি পদক।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ ভারতের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন নরসিংদীর মিয়া চান। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে পান ভিক্টোরি ও ক্যাম্পিং নামে দুটি পদক। বর্তমানে ময়মনসিংহে বসবাসরত তার পরিবারের সদস্যদের কাছে শুধু পদক দুটিই রয়েছে। তবে তার কোনো ছবি নেই তাদের কাছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে নরসিংদীর মনোহরদী থেকে স্বপরিবারে চলে আসেন ময়মনসিংহের ভালুকার আওলাতলী গ্রামে। ১৯৬৮ সালে মিয়া চাঁনের মৃত্যুর পর কবরও দেয়া হয় ভালুকায়। তাঁর দুই ছেলেও মারা গেছেন।
নরসিংদী মনোহরদী উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মিয়া চাঁন। বিংশ শতাব্দির শুরুতে ভারতীয় সৈনিক পদে চাকরি নেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন সেই যুদ্ধে। যুদ্ধে অংশ নেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে পান ভিক্টোরী ও ক্যাম্পিং নামে দুইটি পদক।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পাওয়া ভিক্টোরী ও ক্যাম্পিং পদক দুটি অনেক যত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছে তার উত্তরাধিকারীরা। পরিবারের সদস্যের দাবি, ‘সবাই যেন আমার দাদার পরিচয়টা জানতে পারে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা আমার দাদার পরিচয়টা তুলে ধরতে চাই।’
পদক দুটির বিষয়ে মিয়া চাঁনের পুত্রবধূ রিজিয়া খাতুন বলেন, ‘যুদ্ধ করে আমার শ্বশুর মেডেল দুটো পেয়েছেন। আমার স্বামী আমাকে দেন। আমরা যেন আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে দেখাতে পারি।’
স্থানীয়রা বলছেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ইতিহাসে গ্রেট ওয়ার হিসেবে পরিচিত, এতে অংশ নেয়া মিয়া চানের জন্য তারা গর্বিত।