ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হৃদয় চন্দ্র ঘোষ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনের কাঁঠালগাছে তার ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত হৃদয় চন্দ্র ঘোষ উপজেলার ঘোষপাড়া মহল্লার অজিত চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকের হেলপার ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী ছহুর উদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হৃদয়ের। কিন্তু দুজন ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় পরিবার তাদের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে নিয়ে হৃদয় বাড়ি থেকে পালিয়ে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন বুধবার রাতে মাওনা এলাকায় হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করে মেয়েটিকে নিয়ে ঘোষপাড়া নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘোষপাড়ার বাড়ির সামনে কাঁঠালগাছের সঙ্গে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তার মা রিনা রানী ঘোষ।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে হৃদয়ের সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়। ওই সময় সে জানায়- ‘আমি (হৃদয়) আসতে চাচ্ছি না মেয়ের পরিবারের লোকজন আমাকে জোর করে নিয়ে আসতে চাচ্ছে।’ এতটুকু বলার পরেই হৃদয় লাইন কেটে দেয়। আমাদের ধারণা প্রতিশোধ নিতেই মেয়ের পরিবার হৃদয়কে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে।
হৃদয়ের মা রিনা রাণী ঘোষ জানান, ছেলেকে পাইলে মেরে ফেলবে- এমন হুমকি ওরা আগে থেকেই দিয়ে আসছিল।
হৃদয়ের প্রেমিকা বলেন, আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ৪-৫ বছর। এ সম্পর্কের টানেই আমি হৃদয়ের সঙ্গে চলে যাই। বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন যখন আমাকে নিয়ে আসে, তখন হৃদয় বলছিল- আমাকে না পেলে আত্মহত্যা করবে। রাতে আমরা যে গাড়িতে বাড়ি ফিরি, হৃদয় সেই গাড়িতে আমাদের সঙ্গে আসেনি।
গৌরীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। সূত্র: আমার বার্তা