ময়মনসিংহের পাগলা থানাধীন এলাকায় মেয়ের ননদকে ধর্ষণের অভিযোগে তালই আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আতাউর রহমান ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করে স্থানীয় একটি পোল্টি ফার্মে চাকরি করত। তার পৈতৃক বাড়ি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার কিসামতহারিটি গ্রামে।
পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফাইজুর রহমান বলেন, ‘গতরাতে একটি ফোন পেয়ে পুলিশ ধর্ষণের শিকার মেয়েটির রিবারকে থানায় আনে। মেয়েটি জানায় যে তার ভাবির বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে মেয়েটির বাবা এই থানায় বেয়াই আতাউর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। এরপরই আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ওসি জানান, আতাউর রহমানের মেয়ে ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বান্ধবী। তারা একই শ্রেণিতে পড়ত। আতাউরের মেয়ের সঙ্গে মেয়েটির ভাইয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। অভিযুক্ত আতাউর রহমান প্রায়ই মেয়ের বাড়িতে যাতায়াত করত। দুই থেকে তিন মাস আগে ভিকটিম মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করায় তার পরিবার। এতে মেয়েটি প্রায় এক মাসের মতো জ্বরে ভোগেন।
কয়েকদিন আগে মেয়েটির পেটসহ শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ বিষয়ে তার ভাই ও ভাবি জেরা করার পর সে জানায়, তার তালই আতাউর রহমান গত ২৮ মে রাতে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হুমকি দেন যে, এ কথা কাউকে জানালে তার ভাই ও পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করবে। এই ভয়ে মেয়েটি এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি।
ওসি ফাইজুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষায় পাঠানো হবে। আসামির বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: এনটিভি