দিল্লিতে ভারতীয়দের মন্থর গতির খেলা দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছে। তবে রোহিতের ভাষ্য মতে উইকেটের চরিত্রগত কারণেই এমনটি হয়েছে। তখন থেকেই তারা পর্যালোচনা করছে কত রান সংগ্রহ করলে নিরাপদে থাকা যাবে।
রাজকোটের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভিন্ন চেহারার ভারতকে দেখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘পিচ ভালই মনে হচ্ছে। রাজকোটে সব সময় ব্যাটিং সহায়ক উইকেট থাকে। সেখানে বোলাররাও সুবিধা পেয়ে থাকে। এটি ভাল একটি পিচ হবে। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে এটি দিল্লির চেয়ে ভাল উইকেট হবে।’
স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন, ‘দিল্লির কন্ডিশন আদর্শ উইকেট ছিল না। সেখানে সুযোগ কম ছিল। পিচ কিছুটা নরম ছিল। আমরা সবাই শট খেলতে পছন্দ করি; কিন্তু সেখানে শট খেলাটা সহজ ছিল না। আমরা পর্যালোচনা করে ঠিক করেছিলাম প্রথম ৬ ওভারে কত রান নিতে হবে এবং পরবর্তী ৭ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত কত রান সংগ্রহ করতে হবে। শেষ ৫ ওভারেই বা কত রান তুলতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা এগিয়েছি।
আপনি যখন এই ধরনের পিচে খেলতে যাবেন, তখন আপনার ঠিক করতে হবে কত রান হবে আদর্শ সংগ্রহ। যার উপর আপনি নির্ভর করতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই এমন একটি ধারণা রাখতে হবে এবং সেটিকে লক্ষ্য করেই ব্যাটসম্যানরা কিছু করার চেষ্টা করবে। পিচ যদি ভাল হয়, তাহলে কাল আপনারা অন্য চেহারার ভারতকে দেখতে পাবেন।’
ভারত টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে যতটা ভাল, ততটা ভাল অবস্থানে পৌঁছেনি টি-২০ ক্রিকেটে। যদিও বিশ্বের সেরা টি-২০ ক্রিকেট লীগ আইপিএল সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এমনকি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টি-২০ সিরিজেও ধুঁকতে হয়েছে স্বাগতিক ভারতকে। তিন ম্যাচর ওই সিরিজটি ড্র হয় ১-১ ব্যবধানে। কিন্তু তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে ছেড়েছে ভারত।
রোহিত বলেন, টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে তারা প্রচুর পরিক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। কিন্তু টেস্ট ও ওয়ানডের মত স্থিতিশীল স্কোয়াড গঠন করতে পারেনি। তবে এটিকে অজুহাত বানাতে চান না তিনি। বলেন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর্যায়ে থাকলেও তাদের পূর্ণ মনোযোগ দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জয়টি দলের জন্য অতিরিক্ত চাপ বলেই মনে করেন ভারতীয় ওপেনার।
রোহিত বলেন, ‘চাপটা হচ্ছে শুধুমাত্র ভাল পারফর্ম করার। এর বেশি কিছু না। শুধু নির্দিষ্ট কোন বিভাগে নয়। আপনি দলগতভাবেই পরাজিত হয়েছেন। শুধু বোলিং বিভাগের জন্য হারেননি। তাই মনোযোগ দিতে হবে দলগত পারফর্মেন্সের প্রতি।’