সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থন ভালো করতে সাহায্য করেছে : আফিফ

সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থন এবং কোচিং স্টাফদের সহযোগিতা তাকেসহ জুনিয়রদের মাঠে সেরা পারফরমেন্স করতে সহায়তা করেছে জানালেন বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। যদিও প্রথম টি-২০তে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ৪৩ বলে অনবদ্য ৬০ রান ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন। তবে জুনিয়রদের মধ্যে মোহাম্মদ নাইম শেখ, আফিফ ও আমিনুল বিপ্লবের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মত। ফলে প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিতে পারে টাইগাররা।

আফিফ মনে করেন, সিনিয়র খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে বোঝাপড়ায় জুনিয়রদের ভালো পারফরমেন্সে উদ্বুত করেছে এবং কোনও চাপও অনুভব করতে হয়নি।

“সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাদের (জুনিয়র খেলোড়দের) অনেক সাহায্য করছে, যা চাপ ছাড়া ও নিশ্চিন্তে ক্রিকেট খেলতে আমাদের সাহায্য করেছে এবং প্রতি মূর্হুতে তারা আমাদের সহায়তা করেছে। তাই আমি আশা করি, সামনে কোনও সমস্যা হবে না।’

আফিফ আরও জানান, কোচ তাদের স্বাভাবিকভাবে খেলতে স্বাধীনতা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘রাসেল আমাদের সব সময় বলেছেন- নিজেদের মত করেই খেলতে। খেলোয়াড়রা সাধারণত যেভাবে খেলেন, সেভাবে খেলার স্বাধীনতা পান। তাই আমরা আমাদের মত করে খেলতে পেরেছি। ড্রেসিং রুমের পরিবেশ দারুণ ছিলো। দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। আমাদের অধিনায়ক বলেছেন, যেভাবে ভালো, সেভাবেই খেলতে। আমরা মাঠে আগ্রাসী হয়ে উঠবো, এটি আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিলো এবং আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’

প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে না পারলেও, বল হাতে দারুন পারফরমেন্স করেছেন আফিফ। ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ভারতের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শিবম দুবেকে নিজের ডেলিভারিতে দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় দেন আফিফ। তবে ব্যাট করার সুযোগ পেলে দলের জয়ে অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

আফিফ বলেন, ‘আমি ব্যাটিং অলরাউন্ডার। কিন্তু গত ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ আমি পাইনি। তবে আমি বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং দলের জন্য সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। যদি আমি ব্যাট করার সুযোগ পাই, দলের জন্য পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। আমি সবসময়ই বল-বাই-বল খেলার চেষ্টা করি। পরের ম্যাচেও আমি তেমনই করবো। আমি প্রত্যকটি বলে মনোযোগি হবার চেষ্টা করি, যা আমাকে ভালো করতে সহায়তা করে।’

ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাদের কন্ডিশনে জিততে পারাটা আনন্দদায়ক বলে মনে করেন আফিফ। তিনি বলেন, ‘ম্যাচটি সত্যি দারুণ ছিলো। ঐ ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছুই শেখার চেষ্টা করেছি। জাতীয় দলের হয়ে আমার প্রথম সফরে আমি অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। তাই এখানে আমার সেরাটা দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। প্রতিপক্ষের কারণে অবশ্যই আগের ম্যাচ থেকে এটি অনেক ভিন্ন হবে। প্রতিপক্ষ অনেক বেশি শক্তিশালী। এই প্রথম অনেক বেশি অভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে আমি খেলেছি, যা উৎসাহি করেছে।’ সূত্র : বাসস।

Share this post

scroll to top