মো. আব্দুল কাইয়ুম : ময়মনসিংহের ত্রিশালে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এর নতুন কারখানার যাত্রা শুরু হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে নতুন এ কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, নীতিহীন দলকে মানুষ কখনো গ্রহন করে না। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড মিনিস্টারের পন্য আগামীতে আন্তর্জাতিক বিশ্বে রপ্তানি হবে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে আরো এগিয়ে যাবে। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড মি নিস্টারের নতুন কারখানা আদর্শহীন ঐক্য কখনো টিকে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, কিন্তু তাদের ঐক্য টিকবে না। তিনি বলেন, যারা আজকে একদল, কালকে আরেকদল, পরশু অন্যদল, তাদের কোনো নীতি নেই। নীতিহীন দলকে মানুষ কখনো গ্রহন করে না। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্র্যান্ড মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স লি: কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মাইওয়ান-মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম. এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং টেকসই পণ্য তৈরী করছে দেশীয় ইলেকট্রনিক ব্রান্ড মিনিস্টার। মিনিস্টারের এই পরিবেশ বান্ধব পণ্যগুলো সাধারন মানুষের জীবনকে করে তুলবে আরো সহজ। একটি সুন্দর আগামীর জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মাইওয়ান-মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরূবা তনু, প্রাইম ব্যাংক লি. এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও রাহেল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে কারখানার উদ্বোধন করেন এবং প্রায় ২০০ বিঘা জমির উপর ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারখানা ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্যকারখানাটিতে প্রতিদিন মিনিস্টার ব্র্যান্ডের প্রায় ১০ হাজার রেফ্রিজারেটর ও এসি’র উৎপাদন হবে। যন্ত্রাংশ তৈরী থেকে শুরু করে সংযোজন সব কাজ এই কারখানাতেই সম্পন্ন হবে। এতে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশপাশি কমংসংস্থানও বাড়বে। আপাতত স্থানীয় বাজারে রেফ্রিজারেটর ও এসি সরবরাহ করলেও খুব শিগগিরই রপ্তানিতে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে ভারত, নেপাল, পা, কিস্তান, ভুটান, মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকার সাথে কথাবার্তা চলছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপও তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে।