ভারতের বাবরি মসজিদকে রক্ষা করা যেত, যদি সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাওয়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সেই সময়কার দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব মাধব গোটবোলে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার আগেই এক ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তা গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। নিজের বইয়ে এমনটাই দাবি করেছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব গোটবোলে। অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে তার নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে মাধব গোটবোলে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ে যদি রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হত, তাহলে বাবরি ধ্বংস এড়ানো যেত।
তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে প্রাক্তন এই আমলা বলেছেন, এই ঘটনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করলেন দুর্ভাগ্যবশত তিনি নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবেই থেকে গিয়েছেন।
প্রাক্তন এই আমলার অভিযোগ, রাও ছাড়াও প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী রাজীন গান্ধী এবং ভিপি সিং-ও মসজিদ নিয়ে সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
মাধব গোটবোলে বলেছেন, ১৯৯২ সালে বিভিন্ন সংস্থা এবং অফিসারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে, ব্যাপক ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে কাঠামোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা। ভারতের বিচার বিভাগ এবিষয়ে অবগত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মাধব গোটবোলে জানিয়েছেন, তিনি পরিকল্পনা ক্যাবিনেট সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা করেছিলেন ৪ নভেম্বর।
কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে বাবরি মসজিদ ঘিরে ফেলে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তার জন্য করসেবা শুরু হওয়ার প্রস্তাবিত দিনের অনেক আগেই কাজ শুরু করা যেত।
লেখক আরও বলেছেন, সেই সময়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কল্যাণ সিং সরকারকে। সেই সরকারই কর সেবকদের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। এটা থেকেই একেবারে পরিষ্কার যে সংবিধানের অধীনে রাজ্য সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ওয়ানইন্ডিয়া ডটকম।