বাংলাদেশ এবং মুশফিকুর রহিমের সাথে ভারতের সম্পর্কটা একটু জটিল। ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ম্যাচে হেরে যাওয়া কষ্টের মুহূর্তের সঙ্গী ছিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রথমটি হলো ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। জয়ের আগেই উদযাপন সেরে ফেলেছিলেন তিনি। এরপরের ঘটনা বেদনা বিধুর। মাত্র ১ রানের হার! আর দ্বিতীয় ঘটনাটি ছিল নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে। দীনেশ কার্তিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে হারে বাংলাদেশ। এরপর গত বছর এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে জয় তুলে নেয় ভারত। অবশেষে ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের আনন্দে ভাসলো বাংলাদেশ। আর এই জয়ের নায়ক মুশফিক। ৪৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৬০ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাহলে কি তার ওপর চেপে থাকা ভারত-আতঙ্ক কেটেছে?
ক্রীড়া বিষয়ক চ্যানেল স্টার স্পোর্টস- এর এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছেন, ‘না, আসলে তেমন কিছুই না।’ পরিস্থিতিটাই এমন ছিল যে, তিনি ওই ভাবে খেলেছেন বলে জানান।
মুশফিক বলেন, ‘যখন আপনি অনেক দর্শকের সামনে খেলবেন এবং দলের প্রয়োজনে রান করতে পারবেন। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারবেন- এর চেয়ে অসাধারণ কোনো অনুভূতিই হতে পারে না। আমার আসলেই খুব ভালো লাগছে। ভারতের মাঠে ভারতে বিপক্ষে খেলাটা খুব সম্মানের ব্যাপার।’
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মুশফিক। এই জুটি ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ৫৪ রান থেকে ১১৪ রানে পৌঁছে দেয়। ফলে জয়টা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
মুশফিক বলেন, ‘মাঠে আমি আর সৌম্য বলছিলাম, যেহেতু এই পিচে রান নেয়া সহজ হবে না এবং স্পিনাররা সুবিধা পাবে তাই আমাদের এক ওভারেই বড় একটা সংগ্রহ তুলে নিতে হবে।’
‘আমরা জানতাম, এক ওভারে ১৬-২০ রান তুলতে পারলেই ম্যাচটা আমাদের পক্ষে যাবে। ভাগ্য ভালো বলেই বড় একটা ওভার পেয়েছি। ১৮তম ওভারেই বড় স্কোর তুলে নিয়েছি আমরা। খলিল আহমেদের ওই ওভারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সতীর্থদের প্রশংসা করে মুশফিক বলেন, ‘সৌম্য দারুণ খেলেছেন। ভালো খেলেছেন লিটন এবং নাঈমও।’
তিন ফরমেটেই দাপটের সাথে খেলছেন মুশফিক। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নিজেকে একজন ভালো ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলতে শতভাগ চেষ্টা করছি। প্রতি মুহূর্ত আমি শেখার চেষ্টা করি। এবং বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই।’
– ক্রিকইনফো