মো: আব্দুল কাইয়ুম: বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে আগের তুলনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কমেছে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি। নিরাপদে চলাচল করতে পারছে শহরের সাধারণ জনগন। তবে সংগ দোষে অনিরাপদ স্থানে অবস্থান করায় মাঝে মাঝেই অপরাধী বন্ধু মহলের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে অনেককে।
ময়মনসিংহে চলতি বছর যেসব অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেগুলোর জন্য ভূক্তভোগী নিজেই দায়ী। তবে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ময়মনসিংহ শহরে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি কমেছে অনেকাংশে। সেজন্য অবশ্যই জেলা পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তবে জেলা পুলিশকে বিতর্কিত করতে ময়মনসিংহে একদল অপপ্রচারকারী বিভিন্ন মাধ্যমে ‘ছিনতাই’ শব্দটাকে সর্বস্তরে ব্যবহার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিতে তৎপর রয়েছে।
জানা যায়, কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা ময়মনসিংহের সামাজিক পরিস্থিতিকে আতঙ্কিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটাতে তৎপর রয়েছে। এমনও ঘটনা ঘটছে যে, ময়মনসিংহের পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য দেখাতে কেউ একজন ছিনতাই শব্দটি ব্যবহার করে পোস্ট দেয়ার পর ওইসব গুজব রটনাকারীদের কেউ কেউ ময়মনসিংহের পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য ব্যবহার করছে। মূলত, এমনসব কটাক্ষ মন্তব্য করে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়টিকে জনসমক্ষে তুলে আনতে চাইছে কয়েকটি গ্রুপ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরে ময়মনসিংহ শহরে যেসব কথিত ছিনতাই বা কিশোর খুন হয়েছে সেজন্য ভিকটিমের দায়বদ্ধতা লক্ষ্য করা গেছে। অপরাধী বন্ধু মহলের সংষ্পর্শে মূলত এসব ভিকটিমের সুসম্পর্ক থাকায় কথা-কাটাকাটি বা অপরাধী চক্রের প্রতারণায় পড়ে খুন বা ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। সেক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা যায়। অপরাধী চক্রের সাথে মিশে শিশু-কিশোর-যুবকরা পরিবারের অগোচরে অপরাধী বন্ধু মহলের সাথে বিভিন্ন প্রতারনা বা অপকর্ম করতে গিয়ে মূলত খুনের শিকার হন। শহরের জনসমাগম রয়েছে এমনসব স্থানগুলোতে কথিত ‘ছিনতাইকারীদের হাতে খুন’ এমন ধরণের সংবাদ দেখা যায় না। শহরে যেসবস্থানে খুনের ঘটনা ঘটেছে সেসব স্থানে জনসমাগম একেবারে নাই বললেই চলে। হয়ত অপরাধী বন্ধুদের কপ্পরে পড়েই সেসব ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো ভিকটিম। সেজন্য অপরাধীদের পাশাপাশি ভিকটিমেরও দায়বদ্ধতা থেকে থাকে। তবে শহরের শিশু কিশোররা ‘ছিনতাই ’ শব্দটার সাথে পরিচিত হয়ে নিজেরাও ‘ছিনতাই’ চক্রে জড়িত হওয়ার ফন্দি আটতে পারে। সেজন্য ছিনতাই রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে নিজের সন্তানের প্রতি নজর দেয়া খুবই জরুরি। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ছিনতাই’ নিয়ে অপপ্রচারের জন্য পুলিশকেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী