আব্দুর রাজ্জাক ৬০০ উইকেটের চূড়ায়

জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে নেমে প্রথম দিনেই কীর্তিটা গড়ে ফেললেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট শিকারের চূড়া ছুঁয়েছেন খুলনার ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। মাঠে নামার আগে অনন্য মাইলফলক থেকে ছয় কদম দূরে ছিলেন রাজ্জাক।

বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন রাজ্জাক। সেই তালিকায় আর কেউ নাম লেখানোর আগেই ৬০০-এর ক্লাব খুললেন তিনি।

শনিবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে নেমেছে খুলনা। ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ উইকেটটি শিকারের মধ্যে দিয়ে মাইলফলকে পা রাখেন রাজ্জাক। শুরু করেছিলেন ওপেনার মেহেদী মারুফকে উইকেটের পেছনে সোহানের ক্যাচ বানিয়ে। কীর্তি ছুঁয়েছেন রবিউল হককে বোল্ড করে।

শেষপর্যন্ত ২৪.১ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়ে রংপুরকে ২২৪ রানে অলআউট করে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন রাজ্জাক।

জাতীয় লিগের ২১তম আসর শুরুর আগে রাজ্জাকের উইকেট ছিল ৫৮১টি। তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে ছয়শ’র খুব কাছে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলকে একসময় স্পিনে নেতৃত্ব দেয়া রাজ্জাক।

২০০১-০২ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত রাজ্জাক একশ উইকেটের দেখা পান ২০০৪-০৫ মৌসুমে। ২০০ উইকেট ছুঁতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়, ২০১২-১৩ মৌসুমে। ৩০০ ছুঁতে সময় নেন কেবল এক মৌসুম। বল হাতে অদম্য ছুটে চলা রাজ্জাক ২০১৮-১৯ মৌসুমে এসে সেটি করে ফেলেছেন প্রায় দ্বিগুণ।

১৯ বছরের ক্যারিয়ারে রাজ্জাক খেলতে নেমেছেন ১৩২তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ৩৯বার ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সেরা বোলিং ৮৪ রানে ৯ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন দশবার

টায়ার-১ এর এই ম্যাচে রাজ্জাকের তোপের দিনে রংপুরের ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই। রিশাদ হোসেন সর্বোচ্চ ৪২ করে ফেরেন। নাসির হোসেন করেন ৪০ রান।

পরে ব্যাট করতে নেমে স্বস্তিতে নেই খুলনাও। ইমরুল কায়েস ৬ ও মইনুল ইসলাম ২ রানে ফিরে গেছেন। ২ উইকেটে ২৪ রানে দিন শেষ করেছে রাজ্জাকের দল।

কক্সবাজারে টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে, মুখোমুখি হয়েছে রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে রাজশাহী। ঢাকা এক ওভার ব্যাট করলেও কোনো উইকেট হারায়নি, রানও তুলতে পারেনি।

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে দুজনের ব্যাটে, ৫৬ এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর থেকে। মুক্তর আলিও ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। সানজামুল ইসলাম করে যান ৪৯।

ঢাকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান ও শুভাগত হোম। সালাউদ্দিন সাকি ও জুবায়ের হোসেন লিখনের উইকেট ২টি করে।

Share this post

scroll to top