রানওয়ে থেকে একেবারে সমুদ্রে। শুক্রবার বরাতজোরে বেঁচে গেলেন এয়ার নিউ গিনির একটি বিমানের ৪৭ জন যাত্রী। ডুবন্ত যাত্রীদের কোনওক্রমে ছোট নৌকায় চাপিয়ে উদ্ধার করে আনা হয়।
শুক্রবার এয়ার নিউ গিনির ওই ছোট বিমানটি অবতরণ করছিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়ার চুক বিমান বন্দরে। অবতরণ করতে গিয়েই ওই বিপত্তি। বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার জিমি এমিলো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণ করছিল। সে সময় এটি রানওয়ে থেকে পিছলে সমুদ্রে নেম যায়।
ঠিক কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটলা তা এখনই বলা যাচ্ছে না তবে বিমানের ৩৬ যাত্রী ও ১১ জন ক্রু-কে নৌকোর সাহায্য উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটি এখনও জলে ভাসছে। জানিয়েছেন, জিমি এমিলো।
উল্লেখ্য, এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয় বিমানটি। যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেডিও নিউ জিল্যান্ডের পক্ষ থেকে একটি ভিডও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিমানটির অর্ধেক জলে ডুবে রয়েছে। তাকে ঘিরে রয়েছে বহু নৌকো ও স্পিড বোট।
দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও পাপুয়া নিউ গিনি সরকারের কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তদন্তকারী অফিসাররা দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ সালে। সেবার ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার-এর একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে সমুদ্রে নেমে যায়। বিমানের ১০১ জন যাত্রীর তাতে কোনও ক্ষতি হয়নি।