ঢাকায় গলা কেটে দুই নারীকে হত্যা – নিহতের বাড়ি ময়মনসিংহে

রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও গৃহপরিচারিকাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্ত্রীর জামাতার বডিগার্ডসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর বাসার এফ-৪ ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন বাড়ির গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহপরিচারিকা দিতি। ছয়তলা ভবনের ওই ফ্ল্যাটের মালিক মনির উদ্দিন তারিম নামে এক শিল্পপতি ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। নিহত আফরোজা বেগম সম্পর্কে এই ব্যবসায়ীর শাশুড়ি।

জানা গেছে, নিহত আফরোজা বেগমের স্বামীর নাম হিরণ শেখ। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। এই বাড়ির চার ও পাঁচতলায় তাদের দুটি ফ্ল্যাট। চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন আফরোজা ও গৃহকর্মী দিতি। উপরের ফ্ল্যাটে থাকতেন তার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা ও জামাতা মনির উদ্দিন তারিম।

পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটে গৃহপরিচারিকা হিসেবে শুক্রবার বিকালে নিয়োগ দেওয়া হয় এক নারীকে। নতুন কাজে যোগ দিলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা নেননি গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম। কারণ তার গাড়ি চালকই ওই নারীকে কাজে আনেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও আরেক গৃহপরিচারিকাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে ধারণা পুলিশের। হত্যার পর বাড়ি থেকে মোবাইল ও স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু জিনিস খোয়া গেছে।

সুরতহালে দেখা গেছে, ঘটনার পর ঘাতক ফ্লাট থেকে নিজেই রক্ত মাখা পায়ে নিচে নেমে যায়। পরে একটি বাথরুমে পা ধুয়ে বাড়ির দারোয়ানের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর বাড়ির সিসিটিভি পর্যালোচনা করে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

বাড়ির দারোয়ান নুরুজ্জামান জানান, ‘শুক্রবার বিকাল তিনটায় আফরোজা বেগমের জামাতা মনিরের পিএস বাচ্চু এক নারীকে নিয়ে বাসায় আসেন। ওই নারী বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার কথা বলে বাচ্চুর সঙ্গে ওপরে যান। এরপর ছয়টার দিকে বাচ্চু একবার লুঙ্গি পরে নিচে নামে। এর কিছুক্ষণ পর ওই নারী চলে যায়। তারপর বাচ্চুও প্যান্ট-শার্ট পরে চলে যায়। তারপর ওপর থেকে আমাকে একটা ছেলে ফোন দিয়ে জানায় খালাম্মা মারা গেছে। এরপর লোকজন আসে।’

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় বাড়িটির ইলেক্ট্রিশিয়ান বেলায়েত ও আফরোজা বেগমের মেয়ের জামাতার পিএস বাচ্চুকে আটক করেছে পুলিশ।’

Share this post

scroll to top