ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে করা মামলায় শিলংয়ের আদালতে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের রায়ের দিন পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিচারিক হাকিম ডিজি খার সিংয়ের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। এর আগে আরেক দফা রায়ের তারিখ পেছান হয়েছিল।
গত ২৫ জুন উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ১৩ আগস্ট রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। কিন্তু পরে তা পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বের দিন ধার্য করা হয়।
১৯৪৬ সালের ১৪ ধারা অনুযায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে করা মামলায় ২০১৫ সালের ২২ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় শিলং পুলিশ।
এতে বলা হয়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের শিলংয়ে আকস্মিক উপস্থিতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিচার এড়াতে তিনি ভারতে এসেছেন।
এ মামলায় আদালত সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এ ছাড়া তাকে শিলংয়ে পাওয়ার পর যে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়, সেই হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে সালাহউদ্দিন আহমেদের। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আইসি ঝাঁ জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। এ বিষয়ে সব তথ্যপ্রমাণ আদালতের কাছে হাজির করা হয়েছে।
তিনি মনে করেন, তারা প্রমাণ করতে পেরেছেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাই সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এসপি মোহন্ত বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ কীভাবে ভারতে এসেছেন তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা বাংলাদেশ থেকে তুলে নিয়েছিল, এমন খবর বাংলাদেশের সংবাদপত্রে রয়েছে। তাই তিনি মনে করেন, এ মামলায় সালাহউদ্দিন আহমেদ খালাস পাবেন।