স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালি শহরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের মেয়ে মার্জিয়া আক্তার লিপির একই গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন সরকারের সাথে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। লিপি স্বামীর সাথে তিন সন্তান নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। মোশারফ হোসেন সরকার সেখানে ঠিকাদারি কাজ করতেন। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে মোশারফ লিপিকে বাসায় পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চুপাইর গ্রামে লিপির বাবার বাড়িতে এসে পৌঁছে। এ ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক রয়েছে।
নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্রগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান, মোশারফ আমার মেয়ে লিপিকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধরও করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, বাকপ্রতিবন্ধী লিপি আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী থানার হালিশহরে থাকতো। নিহতের পরিবারের দাবি, লিপির স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত পাহাড়তলী থানায় পাঠানো হচ্ছে।