দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের অবরোধে কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনকারীরা। অবরোধের আওতায় জাবির দুই প্রশাসনিক অফিস বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। আন্দোলনকারীদের সকাল সন্ধ্যা অবরোধের কারণে অফিসে ঢুকতে পারেনি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। টানা আন্দোলনের কারণে জরুরি কাগজপত্রও সংগ্রহ করতে পারছেন না অনেকে।
এদিকে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’র ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২য় দিনের মতো বিভাগে বিভাগে সর্বাত্মক ধর্মঘট করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিভাগে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ভিসিপন্থী শিক্ষকরা বাধা উপেক্ষা করেও বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়েছেন বলে জানা যায়। এসময় আন্দোলনকারীদের সাথে তর্ক, বাকবিতণ্ডাও হতে দেখা যায়।
বিকাল তিনটায় আন্দোলনকারীরা ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।মিছিলটি ভিসির বাসভবনের সামনে দিয়ে চৌরঙ্গী, টারজান পয়েন্ট হয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এ সময় অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন,‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে আমাদের কোন ভয় নেই আমরা এই দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়বো। ভিসি পতন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
অবরোধকালে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন,‘ভিসির দুর্নীতির বিষয়টি ছাত্রলীগের দুই নেতা মিড়িযার সামনে এসে সরাসরি স্বীকার করলেও তিনি সে বিষয়ে তদন্ত করতে রাজি নয় বা তারা সত্য বললো নাকি মিথ্যা বললো তার তদন্ত করাতে রাজি নয়। তিনি এখন আন্দোলনকারীদের শিবির প্রমাণ করতে ব্যস্ত। কয়েকদিন আগেও প্রশাসন ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি রাব্বানী ও সাদ্দামের কথোপকথনকে বলছেন ‘সাজানো এবং বানানো’। আজ তারাই আবার আন্দোলনকারীদের নিয়ে কথিত ফোনালাপ তৈরি করে আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করছে।আমরা এর প্রতিবাদ করছি এবং ভিসির অপসারণ দাবি করছি।’
অবরোধ শেষে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রাইয়ান রাইন বুধবার সর্বাত্মক ধর্মঘট ও অবরোধের ডাক দেন।