সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ভারত সফরের দল ঘোষণা হবে আজই অথচ তিনি থাকবেন কি-না সেটিই এখনো নিশ্চিত করা হয়নি বোর্ড থেকে।
গণমাধ্যম কর্মীরা অপেক্ষা করছেন গুলশানে বোর্ড সভাপতির বাড়ির সামনে, মিরপুরে শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে এবং সাকিব আল হাসানের বাসার সামনে।
ওদিকে ভারত সফরের জন্য মঙ্গলবারই দল ঘোষণার কথা রয়েছে যেখানে সাকিব আল হাসান থাকছেন কি না তাও চূড়ান্তভাবে জানা যাবে দল ঘোষণার পর।
সম্প্রতি ক্রিকেটারদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার পর থেকেই আলোচনায় আছেন এবারে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমার সাকিব আল হাসান। এরপর ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পেও যোগ দেননি তিনি।
পাশাপাশি ক্রিকেটারদের ধর্মঘট চলাকালে একটি টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নিজেই।
এর মধ্যে একটি দৈনিকে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন এসেছে এভাবে, দুই বছর আগে সাকিবকে একটি ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয়া হয় যা সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডে জানাননি।
প্রতিবেদনে বলা আছে সাকিবকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তা কোনো বক্তব্য দেননি। সাকিব আল হাসানও এই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান আকরাম খান বলেন, “সাকিব আল হাসানের যে ভারত সিরিজে খেলা নিয়ে সংশয় সেটা আমি মিডিয়ায় শুনেছি।”
আজ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল নতুন করে ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে তামিম ইকবাল ও সাইফুদ্দিন এর পরিবর্তে ক্রিকেটার ঘোষণা করা হবে। আর টেস্ট দল এখনো ঘোষণা হয়নি।
কী আছে আইসিসির আইনে
আইসিসির আইন অনুযায়ী কেউ কোনো জুয়াড়ির কাছ থেকে কোনো অফার পেলে সেটি ক্রিকেটের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা আকসুকে জানাতে হবে।
এটি করতে ব্যর্থ হলে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আসা খবর অনুযায়ী দু’বছর আগে এ ধরণের একটি প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সাকিব আল হাসান, কিন্তু সেটি তিনি আকসুকে জানাননি।
তবে বিসিবি, আইসিসি কিংবা সাকিব আল হাসান- কোনো পক্ষ থেকেই এ বিষযে কোনো বক্তব্য আসেনি। বিবিসি।