ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার নতুন করে এ দিন ধার্য করেন। ঢাকার সিএমএম আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন নিশ্চিত করেন।
২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় নাজমুল হুদা অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ‘ডিসমিস’ করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ‘ডিসমিস’ করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চেয়েছিলেন এসকে সিনহা।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে বিদেশে বসবাস করছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।
তিনি গত ৪ জুন কানাডার ফোর্ট এরি শহরে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেন বলে দেশটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য স্টারের খবরে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম অমুসলিম প্রধান বিচারপতি সিনহা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি দেশের শত্রু, একজন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি।’
ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে সিনহাসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সিনহা ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর ছুটিতে যান এবং ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হন। সরকার দাবি করেছিল যে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটিতে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগ মুহূর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি অসুস্থ নন।
তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার এক দিন পর সুপ্রিম কোর্টি এক বিবৃতিতে জানায়, সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন ও অর্থ পাচারসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে। নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস আগে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। সূত্র : ইউএনবি।