নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্দেশ্য, সেখানকার মাদি ঘড়িয়ালের সঙ্গে মিলে সে বাচ্চার জন্ম দেবে। ঘড়িয়ালকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য এই বাচ্চা প্রয়োজন। পুরুষ ঘড়িয়ালের নাম গড়াই, বয়স ৪১। আর মাদি ঘড়িয়ালের নাম পদ্মা, বয়স ৩৫।
রাজশাহী চিড়িয়াখানার কিউরেটর ফরহাদ উদ্দিন জানিয়েছেন, পদ্মা গত সপ্তাহে দুটি ডিম পেড়েছিল। কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘড়িয়ালের থাকার জায়গায় পানি ঢুকে যাওয়ায় সেগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
ফরহাদ উদ্দিন আশা করছেন, ভবিষ্যতে পদ্মা আরও ডিম পাড়বে। কারণ পদ্মা আর গড়াইয়ের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গাঢ় হয়ে উঠেছে এবং তারা নিয়মিত মিলিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। যদিও বয়স বেশি হওয়ার কারণে গড়াই আর পদ্মা মিলনে আগ্রহী হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
গড়াইকে যেমন ঢাকা থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়েছে তেমনি রাজশাহীতে পদ্মার সঙ্গে থাকা আরেক মাদি ঘড়িয়ালকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তিন পুরুষ ঘড়িয়ালের সঙ্গে তাকে রাখা হয়েছে।
নদীপ্রধান বাংলাদেশে একসময় প্রায়ই ঘড়িয়ালের দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গঙ্গা আর ব্রহ্মপুত্রতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ঘড়িয়ালের দেখা পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান আর ভুটান থেকেও ঘড়িয়াল হারিয়ে গেছে। ভারত আর নেপালের নদীতে এখন দুশো’রও কম ঘড়িয়াল আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।