আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে একটা কিছু ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে একটা জায়গায় নিতে চাচ্ছেন।দেশে আইনের শাসন দিতে চাচ্ছেন। অথচ সকল শক্তি একসঙ্গে খেলা শুরু করেছে। এদের সাথে দুর্নীতিবাজদের টাকাও যোগ হয়েছে।
আজ সোমবার দুুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, অনেকেই আমাকে বলেছেন আপনি বার বার বলেন ইলেকশন করবেন না? হ্যাঁ আমিও বলি আমি ইলেকশন করবো না। ৯০% সত্য আমি ইলেকশন করবো না যদি আমার নেত্রীর উপর কোনো আঘাত না আসে। কারণ এটা আমার পেশা না। আমার ক্ষুধা ভয় লাগে না।
তিনি বলেন, কারন আমার বাবা পঁচাত্তরে যখন জেলে ছিলেন তখন আমি এক বেলা ভাত খেয়েছি আর এক বেলা খাই নাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনি পরিবারের লোক ছিলাম আমরা। আমি দেখেছি আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান একশত কোটির উপরে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে স্কুল-কলেজ বানিয়েছে।
আমার ভাই সেলিম ওসমান নিজে ঢাকা টু ময়মনসিংহ রুটে বাস চালিয়েছে। সে নিজে বাসের ছাদে করে মুরগি নিয়ে এসে বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনে বিক্রি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে সংসার চালিয়েছে।
তারপরও আমরা কারো কাছে হাত পাতি নাই, মাথা নত করি নাই-এটাই আমার বাপ মার শিক্ষা ছিল। রাজনীতিকে আমি কখনো ধান্দা হিসেবে নেইনি এবং নেবও না।
এ সময় শামীম ওসমান বুয়েটে আবরার হত্যা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বুয়েটে একটি ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মামলা হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুয়েটে যারা ভর্তি হয় তারা সেরার সেরা। অথচ এ মামলায় আরো ২০ জন সেরার সেরা ছাত্র জড়িত হয়ে গেছে। যদি প্রমাণিত হয় তারা অপরাধী তবে তাদের কারো ফাঁসি হবে অথবা কারো যাবজ্জীবন সাজা হবে।
স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুর ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান ও অধুনালুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু। এ সময় স্কাউটদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।