প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন ফ্লাইটের আগমুহূর্তে ডোপ টেস্ট করার সময় কেবিন ক্রু মাসুদা মুফতির মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে রোববার গ্রাউন্ডেড করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফ্লাইট সার্ভিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুজ্জামান রঞ্জুকে সোমবার গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি ফ্লাইটের আগেই ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে ডোপ টেস্ট করে। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের দিনও নিয়ম মেনেই ডোপ টেস্ট করা হয়। ডোপ টেস্টে মাসুদা মুফতির মাদকসেবনের বিষয়টি ধরা পড়ে। কিন্তু মাসুদা মুফতির মাদকসেবনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাননি নুরুজ্জামান রঞ্জু। বিষয়টি গোপন রাখায় তাদের দুজনকেই গ্রাউন্ডেড করা হয়। এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত চলছে।’
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানযোগে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে নিউজার্সির নিউইয়র্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পৌঁছান।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের দিন শুক্রবার ডোপ টেস্টে মাদকসেবনের প্রমাণ মেলার পরও পরদিন সিঙ্গাপুর রুটে দায়িত্বপালন করেন মাসুদা মুফতি। কিন্তু বিমানের নিয়ম অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে প্রমাণ মিললে কোনো ব্যক্তিকে পরবর্তী ৯০ দিন কোনো ডিউটি না দেয়ার বিধান রয়েছে।
এদিকে মাসুদা মুফতির ডোপ টেস্টের তথ্য ডিজিএম নুরুজ্জামান রঞ্জু ফ্লাইট শিডিউল বিভাগকে জানাননি। তাই দায়িত্বে অবহেলা ও মাসুদা মুফতির মাদকসেবনের তথ্যটি গোপন করায় নুরুজ্জামান রঞ্জুকে গ্রাউন্ডেড করা হয়।