ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলে অপহরণের পর এক গৃহবধু(২৬) কে ধর্ষন করেছে শহিদুল্লাহ নামের এক লম্পট। বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধু। মামলা হওয়ার পর থেকে তা তুলে নিতে গৃহবধুকে অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে ওই ধর্ষক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ওই গৃহবধুকে তালাক দিয়েছে তার স্বামী।
মামলা বিবরণ ও গৃহবধুর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই নারী কয়েকমাস ধরে প্রাইভেট গাড়ি চালনা শিখছেন। তাঁর এই গাড়ি চালনা শিক্ষা বিদেশে কাজে লাগতে পারে, এ ধরনের কথা বলে উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের গলকুÐা গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মোছা. সুফিয়া বেগম (৫০) ওই নারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট জোগাড় করে বিদেশ পাঠানোর আশ্বাস দেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু জানান, বিদেশ নেওয়া খরচ বাবদ সুফিয়া তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। পরে দফারফা শেষে তিনি তাঁকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেন। গত ২০ অক্টোবর কথা মতো তিনি সুফিয়ার বাড়িতে যান ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট আনার জন্য। কিন্তু সুফিয়া তাঁকে জানায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট তাঁর পরিচিত শহীদুল্লাহর (৩৮) কাছে রয়েছে। সুফিয়া তাঁকে শহীদুল্লাহর কাছে নিয়ে যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলে শহীদুল্লাহ তাঁকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চারদিন আটকে রেখে শহীদুল্লাহ তাকে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ধর্ষিতা আহাজারি শুরু করলে শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে তাঁকে অজ্ঞাতস্থান থেকে এনে ঈশ্বরগঞ্জের কবীরপুর এলাকার চৌরাস্তায় ফেলে যায়। ধর্ষিতা আরো জানান, সেখান থেকে তিনি বাড়িতে যান। কিন্তু স্বামী তাঁর কাছে ওই চারদিন বাড়ি না থাকার কৈফিয়ত চাইলে তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে স্বামী তাঁকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে ধর্ষক শহীদুল্লাহ তাঁকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষক শহীদুল্লাহ(৩৮) ওই গ্রামের হাজী কেরামত আলীর ছেলে। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।