দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : দু পা নেই শুধু হাত এবং শরীরের উপর ভড় করেই মাটিতে চলতে চলতে দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন বাজারে ১৫ বছর ধরে ভিক্ষা বৃত্তির মাধ্যমে কোনো রকম জীবিকা র্নিবাহ করে আসছে পঙ্গু নুরুমিয়া । ২মেয়ে, ১ছেলে ও স্ত্রী সহ ৫ সদস্যের পুরো পরিবারটাই চলছে তার এই অল্প উপার্জন থেকে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতী ইউনিয়নের বরুয়াকোনা গ্রামে এই বাসিদার বর্তমানে বয়স (৫৮) জীবিত। জীবন জীবিকার কাছে হাড় মেনে বাচার জন্য বেছে নিয়েছেন ভিক্ষা বৃত্তিকে। কখনো এই মোড়ে কখনো বা ঔ মোড়ে মাটিতে শুয়ে হাতে বাটি নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাকে। রোদ বৃষ্টি ঝড় সব কিছুকে উপেক্ষা করে পেটের দায়ে রাস্তা নামতে হয় তাকে, শুধু মাত্র দু হাত আর পিটের উপর ভড় করেই রাস্তায় অতিকষ্টে চলাফেরা করেন নুরু মিয়া । অনেক সময় অসহায় পরিবারের ৫ সদস্যের আহার যুগাতেও হিমশিম খেতে হয় তাকে।
পঙ্গু নুরু মিয়া জানায়, ”দোহান করার সাইয্য পাইলে আর ভিক্কা করতামনা”। আমি এমন ছিলাম না একজন সাধারণ স্বাভাবিক মানুষ ছিলাম পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার যুগাবার জন্যে ১৪ বছর আগে কাজের সন্ধানে বেড়হয়ে বিক্রমপুর এলাকায় ধানকাটার কাজ করতে থাকাবস্থায় ডানপায়ে কাঁটা বিধেযায় সেইস্থানে পঁচন হতে থাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসা করা হয় উন্নতি না হওয়ায় সেখানেই ডান পা-টি কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা।
সুস্থ হওয়ার ৫ বছরের মাথায় মাছ ধরতে গিয়ে অপর বাম পায়ে আবারো কাঁটা বিধেযায় স্থানীয় চিকিৎসায় কোন ফল না হওয়ায় পুনরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই সেখানে কয়েকমাস চিকিৎসা করা হয় উন্নতি না হওয়ায় বাম পা-টিও কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। সুস্থ্যহয়ে বাড়ী ফিরে জীবিকার আর কোন উপাই না দেখে ভি¶া বৃত্তি কেই জীবন ধারণের পেশা হিসাবে বেছে নেই।
সে প্রতিবেদকের কাছে আক্ষেপ করে বলেন ভিক্কা করা কষ্টের কাম আর ভিক্কা করবার মন লয়না যুদি সরকার নাইলে ধনী মানুষ কেউ মুদি দোহান করার টেহা পইসার বাউ কইরা দিতো তাইলে ভিক্কা করা ছাইড়া দিতাম। তাহলে সরকার বা ধনাঢ্য কোন ব্যাক্তি কি এগিয়ে আসবেন এই ভিক্ষুকের পাশে দাঁড়াতে ? তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি মুঠোফোন রয়েছে যার নং ০১৭৭১৬৯৯৫৯৪।