ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজের সই করা এক চিঠিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য লুৎফুল হাসান। চিঠিতে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জামাল হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপক হালদারকে সালাম না দেওয়ায় মো. মাকসুদুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার মাকসুদুল পশুপালন অনুষদের প্রথম বর্ষের এবং জামাল হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। সভাপতির নির্দেশে ছাত্রলীগের ওই হলের সহসভাপতি আবদুল্লাহ্ হিশ শাফি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ও পাঠাগার সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
ঘটনার পরদিন ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। গতকাল বুধবার পর্যন্ত জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত কমিটি কয়েক দিন আগে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে প্রক্টর মো. আজহারুল হক বলেন, সুপারিশসহ তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।